আজকে অভিজিৎ রায়ের জন্মদিন।মুক্তমনা ব্লগের লেখক অভিজিৎকে আমি ভালোভাবে চিনি না।তিনি ব্লগে কী লিখতেন সেসব বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল না কারন আমি তখন অনলাইনে একটিভ ছিলাম না।

বর্তমান সময়ের মেইনস্ট্রিম কিছু নাস্তিককে আমার চরম হিপনোটাইজড এবং প্রতিশোধপরায়ণ মনে হয়।তাদের এরকম হয়ে যাওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারন আছে বৈকি।তবে যেহেতু তারা নিজেদের অধিক অগ্রসর মানুষ হিসেবে দাবি করে তাদের কাছে আমরা অধিক দায়িত্বশীল আচরণ আশা করতেই পারি।কিন্তু অধিকাংশ সময় অনেকের কাছ থেকে আমরা সেই দায়িত্বশীল আচরণ দেখতে পাই না।একটা লেখা পড়েছিলাম কিছুদিন আগে,❝বাংলাদেশে একজন সাধারণ মানুষকে যেরকম মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়,তাদের কাছ থেকে ধর্ম কেড়ে নিলে তারা কিছুই পাবে না,বরং হারাবে সবকিছু।❞আমি এই বাক্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত।ফেসবুকের বাইরে সাধারণ মানুষের জীবন দেখলে এক অন্যরকম চিত্র দেখা যায়।অনলাইনের হিপনোটাইজড আস্তিক-নাস্তিকদের যুদ্ধে এই সাধারণ মানুষদের চিত্রটা ফুটে উঠে না।এইসব না বোঝা কিছু নাস্তিকদের অবান্তর এক্টিভিজম আমার চরম বিরক্তির উদ্রেক ঘটায়।

পক্ষান্তরে এমনও অনেকে আছেন,যাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় আমি বারবার মুগ্ধ হই,তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি।অনেক বিশ্বাসী মানুষজনও আছেন যাদেরকে আমি ঠিক একইরকম মূল্যায়ন করি।সুতরাং,অভিজিৎ রায় বেঁচে থাকলে তার সম্পর্কে আমার অভিমত কী হতো সেটার উত্তর হবে সম্পূর্ণ হাইপোথিটিকাল।অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী বন্যা আহমেদের থিংক বাংলার কার্যক্রম আমার অনেক ভালো লাগে।আমার ধারণা অভিজিৎ রায় এবং মুক্তমনা ব্লগকেও আমার একইরকম ভালো লাগতো।

অভিজিৎ রায়ের ভালোবাসা কারে কয় বইটা আমি পড়েছি।এটা পড়ে তাকে ইসলামবিদ্বেষী কিংবা চটি লেখক যারা বলে তাদের স্বরুপ আমি চিনি।এরা হইলো দুনিয়ার নিকৃষ্টতম জীব।কোপায়ে,চিল্লায়ে কিংবা অংবং বই লিখে হার্ড ডাটা দ্বারা প্রমাণিত ফ্যাক্টকে বদলে ফেলা যায় না।সুতরাং,সেইসব সমালোচকরা যখন আমার না পড়া কোনো লেখা নিয়েও অভিযোগ দিতে আসে সেসব অভিযোগ বাই ডিফল্ট আমার কাছে মেরিটলেস লাগে।